সর্বশেষ :
সিলেটে বিএনপি নেতার প্রাইভেট কার ছিনতাই লামাকাজী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন টাকার জন্য কোন শিক্ষাথীর্র পড়ালেখা বন্ধ হবে না: বিশ্বনাথে মিছবাহ উদ্দিন হবিগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ, আদালতে কাঁদলেন সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গোয়াইনঘাটে ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলা, হবিগঞ্জ থেকে আটক ২ খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিওসহ) সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা : থানায় অভিযোগ দায়ের সিলেট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৭০ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক
৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ

৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ

বানিয়াচং প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।

নিহত ৯ জন হলেন, বানিয়াচং উপজেলার ভাঙ্গার পাড়ের ছানু মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া, জাতুকর্ণপাড়ার আব্দুন নূরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, পাড়াগাঁওয়ের ম. শমসের উল্লার ছেলে মোজাক্কির মিয়া, পূর্বগড়ের ধলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর রহমান, কামালখানী মহল্লার মৃত আলী হেসেনের ছেলে শেখ নয়ন হোসেন, সাগর দিঘীর পূর্বপাড়ের মৃত মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে সোহেল আখঞ্জী, চানপুরের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে আকিনুর রহমান ও খন্দকার মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে আনাস মিয়া।

এসআই জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলার কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিনি আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। পরে বিচারক আবদুল আলীম তা মঞ্জুর করেন। তবে আদালতের আদেশ পেলেও জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না দেওয়ায় মরদেহ উত্তোলন সম্ভব হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট পেলে শিগগিরই এ আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের দিন সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৪-৫ হাজার লোক বড়বাজার শহিদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।

এ পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেলের জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানেগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার গণপিটুনিতে এক সাংবাদিক নিহত হন। মোট মৃতের সংখ্যা হয় আটজন। এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে এসআই সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ও আহত একজনের বাবার পক্ষ থেকে মোট তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় আসামি প্রায় ১০ হাজার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff